এই জল ভালো লাগে;—বৃষ্টির রূপালি জল কত দিন এসে
|
৫৪
|
একদিন পৃথিবীর পথে আমি ফলিয়াছি; আমার শরীর
|
৫৫
|
পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন বাস ক’রে হৃদরের নরম কাতর
|
৫৬
|
মানুষের ব্যথা আমি পেয়ে গেছি পৃথিবীর পথে এসে—হাসির আস্বাদ
|
৫৭
|
তুমি কেন বহু দূরে—ঢের দূরে—আরো দূরে—নক্ষত্রের অস্পষ্ট আকাশ,
|
৫৮
|
আমাদের রূঢ় কথা শুনে তুমি স’রে যাও আরো দূরে বুঝি নীলাকাশ;
|
৫৯
|
এই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি—আমি হৃষ্ট কবি
|
৬০
|
বাতাসে ধানের শব্দ শুনিয়াছি—ঝরিতেছে ধীরে ধীরে অপরাহ্ণ ভ’রে;
|
৬১
|
একদিন এই দেহ ঘাস থেকে ধানের আঘ্রাণ থেকে এই বাংলার
|
৬২
|
আজ তারা কই সব? ওখানে হিজল গাছ ছিল এক—পুকুরের জলে
|
৬৩
|
হৃদয়ে প্রেমের দিন কখন যে শেষ হয়—চিতা শুধু প’ড়ে থাকে তার,
|
৬৪
|
কোনোদিন দেখিব না তারে আমি; হেমন্তে পাকিবে ধান, আষাঢ়ের রাতে
|
৬৫
|
ঘাসের ভিতরে যেই চড়ায়ের শাদা ডিম ভেঙে আছে—আমি ভালোবাসি
|
৬৬
|
(এই সব ভালো লাগে): জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের সোনালি রোদ এসে
|
৬৭
|
সন্ধ্যা হয়—চারিদিকে শান্ত নীরবতা;
|
৬৮
|
একদিন কুয়াশার এই মাঠে আমারে পাবে না কেউ খুঁজে আর, জানি;
|
৬৯
|