পাতা:আমিষ ও নিরামিষ আহার প্রথম খণ্ড.djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২)

ইহার আরও প্রসার আবশ্যক। যেটী আমরা খাই ও আমাদের ভাল লাগে, অল্পব্যয়ে যে সুস্বাদু সামগ্রী প্রস্তুত করি সেটি জগতে সকলে কেন না জানিবে?——গৃহে গৃহে সকলে তাহার দ্বারা কেন না আনন্দ ও উপকার পাইবে? এই শুভ উদ্দেশ্যে আমরা খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী লিপিবদ্ধ করিতে আরম্ভ করিলাম।

 খাবার সামগ্রীটী অনেক টাকা খরচ করিলেই যে ভাল হইবে তাহার কোন অর্থ নাই। কোন জিনিষটা দু আনায় যেমনটা হইবে হয়ত সেখানে দুটাকা খরচ করিলেও তেমনটা হইবে না; কারণ খাদ্য পাকের কৌশলটুকু জানা না থাকিলে কেবল অর্থব্যয়ে কোন ফলই হয় না। অনেক সময়ে দেখিয়াছি পাচকেরা সেই কৌশলটুকু গুপ্ত রাখিয়া দেয় অথবা অজ্ঞতাবশতঃ বাজে উপকরণের শ্রাদ্ধ করিয়া থাকে। আমি যথা সাধ্য এ পুস্তকে যাহাতে সুস্বাদু খাদ্য সামগ্রীগুলি সকলে সহজে স্বল্পব্যয়ে ও অল্প সময়ে প্রস্তুত করিতে পারে তজ্জন্য বিশেষ চেষ্টা করিয়াছি। পাঠকেরা এই পুস্তকে এমন অনেকগুলি খাদ্য দেখিতে পাইবেন যেগুলি আমাদিগের নিজের উদ্ভাবিত; সেগুলিকে নূতন নূতন নামে ভূষিত করা হইয়াছে। প্রত্যেক খাদ্যটী স্বহস্তে রাঁধিয়া তবে লিপিবদ্ধ করিয়াছি।

 আমাদের বাঙ্গলা দেশে কোন বিষয়ে একটা বিধিবদ্ধ ভাব দেখা যায় না। এ দেশে কোন বিষয়ে একটা শৃঙ্খলা ও পারিপাট্য নাই। আমাদের আহারেও এই বাঙ্গালী চরিত্র বিশেষ রূপে পরিলক্ষিত হয়। আমাদের ভোজে “মাছের সঙ্গে ক্ষীরের সঙ্গে যেন একটা হযবরল ব্যাপার হইয়া উঠে”। এইরূপ আহার যেমন শাস্ত্র বিরুদ্ধ তেমনি স্বাস্থ্যবিরুদ্ধ। এই বিশৃঙ্খলা হইতে উদ্ধার করিয়া বাঙ্গলা খাবারকে শৃঙ্খলার সূত্রে আবদ্ধ করা আমার