গৌড়লেখমালা (প্রথম স্তবক)
গৌড়-বিবরণ
[বরেন্দ্র-অনুসন্ধানসমিতি-সঙ্কলিত।]
শ্রীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয় সম্পাদিত।
প্রথম ভাগ—দ্বিতীয় খণ্ড।
গৌড়লেখমালা
[প্রথম স্তবক]
শ্রীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয়।
রাজসাহী
বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতি হইতে
শ্রীসুরেশ্বর বিদ্যাবিনোদ কর্ত্তৃক প্রকাশিত
১৩১৯।
[সর্ব্বস্বত্ব-সংরক্ষিত]
মূল্য তিন টাকা।
কলিকাতা,
৮৬ নং লোয়ার সার্কুলার রোড, চেরি প্রেস লিমিটেড্ হইতে
শ্রীতুলসীচরণ দাস কর্ত্তৃক মুদ্রিত।
সম্পাদকের নিবেদন।
গৌড়লেখমালা তিনটি স্তবকে তিন অংশে প্রকাশিত হইবে। প্রথম স্তবকে পাল-নরপালগণের তাম্রশাসন ও তাঁহাদিগের শাসন-সময়ের কতিপয় শিলালিপি প্রকাশিত হইল। দ্বিতীয় স্তবকে তাঁহাদিগের শাসন-সময়ের অন্যান্য লিপি এবং বর্ম্ম-রাজগণের ও সেন-রাজগণের লিপি প্রকাশিত হইবে। তৃতীয় স্তবকে পাঠান-সুলতানগণের শাসন-সময়ের যে সকল লিপি সন্নিবিষ্ট হইবে, অধ্যাপক গোলাম ইয়াজদানী এম-এ, মহাশয় তাহার সঙ্কলন-ভার গ্রহণ করিয়াছেন। গৌড়লেখমালা-সঙ্কলনে, উদ্ধৃত পাঠের ও ব্যাখ্যার পরীক্ষাকার্য্যে, এবং পাদ-টীকায় উল্লিখিত প্রমাণাবলীর অনুসন্ধানে অধ্যাপক শ্রীশচন্দ্র শাস্ত্রী বি-এ, অধ্যাপক গিরিশচন্দ্র বেদান্ততীর্থ, অধ্যাপক রাধাগোবিন্দ বসাক এম-এ, অধ্যাপক রমাপ্রসাদ চন্দ বি-এ, ও শ্রীযুক্ত সতীশচন্দ্র সিদ্ধান্তভূষণ সময়ে সময়ে সম্পাদকের সহায়তা-সাধন না করিলে, এই শ্রমসাধ্য কার্য্য অল্প সময়ে এতদূর অগ্রসর হইতে পারিত না। গৌড়লেখমালা-সঙ্কলনে প্রবৃত্ত হইয়া, অনেক লিপির অনেক স্থানের পূর্ব্বপ্রচলিত পাঠের ও ব্যাখ্যার পুনরালোচনা করিতে হইয়াছে। যে সকল স্থলে রাজেন্দ্রলাল, উমেশচন্দ্র, হরপ্রসাদ, নগেন্দ্রনাথ, মনোমোহন প্রমুখ স্বদেশের সুবিখ্যাত পুরাতত্ত্ববিশারদগণের এবং উইল্কিন্স, কোলব্রুক্, কিল্হর্ণ, হর্ণলি, হুল্জ্, ভিনিস্ প্রমুখ বিদেশের ভুবনবিখ্যাত মনীষিগণের সম্পাদিত পাঠ ও ব্যাখ্যা গৃহীত হইতে পারে নাই, তাহার কারণ ও প্রমাণ বিস্তৃতভাবে উল্লিখিত হইয়াছে; এবং যে সকল গ্রন্থ হইতে প্রমাণাদি সঙ্কলিত হইয়াছে, যথাস্থানে তাহারও পরিচয় সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। এরূপ গ্রন্থ প্রকাশের এই প্রথম প্রয়াসে বঙ্গসাহিত্যের কিছুমাত্র উপকার সাধিত হইলেও, সকল শ্রম সফল হইবে। অলমতি বিস্তরেণ।
“In the scarcity of authentic materials for the ancient, and even for the modern history of the Hindu race, importance is justly attached to all genuine monuments, and especially inscriptions on stone and metal, which are occasionally discovered through various accidents. If these be carefully preserved and diligently examined, and the facts ascertained from them be judiciously employed towards elucidating the scattered information, which can be yet collected from the remains of Indian literature, a satisfactory progress may be finally made in investigating the History of the Hindus. That the dynasties of princes who have reigned paramount in India, or the line of Chieftains who have ruled over particular tracts, will be verified, or that the events of war or the effects of policy, during a series of ages, will be developed, is an expectation which I neither entertain, nor wish to excite. But the state of manners, and the prevalence of particular doctrines, at different periods, may be deduced from a diligent perusal of the writings of authors whose age is ascertained and the contrast of different results, of various and distinct periods, may furnish a distinct outline of the progress of opinions. A brief history of the nation itself, rather than of its government, will thus be sketched; but if unable to revive the memory of great political events, we may at least be content to know what has been the state of arts, of sciences, of manners, in remote ages, among this very ancient and early civilized people.”—H. T. Colebrooke.
সূচীপত্র।
অবতরণিকা,—গৌড়লেখমালা-সঙ্কলনের প্রয়োজন,—শিলালিপির ও তাম্রপট্টলিপির উদ্ভাবনা,—তাম্রশাসনের সম্পাদন-রীতি সম্বন্ধে শাস্ত্রীয় ব্যবস্থা,—প্রাচীন লিপি হইতে ঐতিহাসিক তথ্য-সঙ্কলনের প্রয়োজন,—বঙ্গলিপির বিকাশ-পদ্ধতির পরিচয় লাভের প্রধান উপায় |
১—৮ |
ধর্ম্মপালদেবের তাম্রশাসন,—মালদহের অন্তর্গত খালিমপুরে আবিষ্কৃত,—প্রথমে স্বৰ্গীয় উমেশচন্দ্র বটব্যাল এম-এ কর্ত্তৃক পাঠ উদ্ধৃত ও পরে অধ্যাপক কিল্হর্ণ কর্ত্তৃক সংশোধিত ও ব্যাখ্যাত,—“মাৎস্যন্যায়” নামক অরাজকতা দূর করিবার জন্য প্রকৃতিপুঞ্জ কর্ত্তৃক গোপালদেবের রাজপদে সংস্থাপিত হইবার কাহিনীর সহিত তারানাথের গ্রন্থোক্ত জনশ্রুতির সামঞ্জস্য |
৯—২৮ |
কেশব-প্রশস্তি,—ধর্ম্মপালের ২৬ রাজ্য-সংবৎসরে বোধগয়ায় “চতুর্ম্মুখ মহাদেব” প্রতিষ্ঠার ও পুষ্করিণী খননের বিবরণযুক্ত শিলালিপি,—কনিংহাম কর্ত্তৃক আবিষ্কৃত,—রাজেন্দ্রলাল কর্ত্তৃক পাঠোদ্ধার-সাধনের চেষ্টা,—নীলমণি চক্রবর্ত্তী এম-এ কর্ত্তৃক উদ্ধৃত পাঠ ও ব্যাখ্যা,—এই শিলালিপির রচনাকাল,—ইহাতে উল্লিখিত “দ্রম্ম” নামক মুদ্রার ও “চতুর্ম্মুখ মহাদেবের” পরিচয় |
২৯—৩২ |
দেবপালদেবের তাম্রশাসন,—মুঙ্গের-নগরে কর্ণেল ওয়াট্সন্ কর্ত্তৃক আবিষ্কৃত,—উইল্কিন্স কর্ত্তৃক প্রথমে পঠিত ও ব্যাখ্যাত,—মূল তাম্রফলকের অভাবে, সোসাইটি-প্রকাশিত লিথোগ্রাফ অবলম্বনে অধ্যাপক কিল্হর্ণের পাঠোদ্ধার-চেষ্টা |
৩৩—৪৪ |
বীরদেব-প্রশস্তি,—ঘোষরাঁবা গ্রামে কাপ্তেন কিট্টো কর্ত্তৃক আবিষ্কৃত,—ব্যালান্টাইন্ কর্ত্তৃক পঠিত—অধ্যাপক কিল্হর্ণ কর্ত্তৃক পুনরালোচিত,—বৌদ্ধযতি বীরদেবের জীবনকাহিনী, দেবপালদেবের শাসন-সময়ে বৌদ্ধ-শিক্ষার অবস্থা |
৪৫—৫৪ |
নারায়ণপালদেবের তাম্রশাসন,—ভাগলপুরে আবিষ্কৃত—রাজেন্দ্রলাল কর্ত্তৃক প্রথমে পঠিত,—ডাক্তার হুল্জ্ কর্ত্তৃক পুনরালোচিত—ব্যাখ্যা-সম্পাদনের সমালোচনা,—পাল-রাজবংশের বংশতালিকা সম্বন্ধে প্রচলিত সিদ্ধান্তের পুনরালোচনার প্রয়োজন |
৫৫—৬৯ |
গরুড়স্তম্ভ-লিপি,—মঙ্গলবারি হাটের নিকটে অবস্থিত,—উইল্কিন্স কর্ত্তৃক আবিষ্কৃত ও পঠিত,—অধ্যাপক কিল্হর্ণ কর্ত্তৃক সংশোধিত পাঠের পুনরালোচনা,—পালবংশীয় দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম নরপালের মন্ত্রিবংশের পরিচয়,—তৎকাল-সম্পাদিত বিবিধ বিজয়-ব্যাপার |
৭০—৮৫ |
গোপালদেব-নামাঙ্কিত প্রস্তরলিপি,—বাগীশ্বরীলিপি,—নালন্দায় আবিষ্কৃত,—মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্ত্তৃক পঠিত,—নীলমণি চক্রবর্ত্তি কর্ত্তৃক প্রকাশিত—দ্বিতীয় গোপালদেবের শাসনকাল-বিজ্ঞাপক লিপি |
৮৬—৮৭ |
গোপালদেব-নামাঙ্কিত প্রস্তরলিপি,—শক্রসেন নামক বৌদ্ধ কর্ত্তৃক বুদ্ধমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠার বিবরণ-যুক্ত প্রস্তরলিপি,—বুদ্ধগয়াধামে ভূগর্ভখননে আবিষ্কৃত,—নীলমণি চক্রবর্ত্তি কর্ত্তৃক প্রকাশিত |
৮৮—৯০ |
প্রথম মহীপালদেবের তাম্রশাসন,—দিনাজপুরের অন্তর্গত বাণগড়ের ধ্বংসাবশেষমধ্যে প্রাপ্ত,—অধ্যাপক কিল্হর্ণ কর্ত্তৃক পঠিত,—নগেন্দ্রনাথ কর্ত্তৃক পুনরালোচিত,—কাম্বোজান্বয়জ গৌড়পতির দিনাজপুর-স্তম্ভলিপির সহিত সম্বন্ধ-বিচার |
৯১—১০০ |
বালাদিত্য-প্রস্তরলিপি,—প্রথম মহীপালদেবের ১১ রাজ্য-সংবৎসরে নালান্দায় জীর্ণ মন্দির সংস্কারের পরিচয়বিজ্ঞাপক বৌদ্ধলিপি,—কাপ্তান মার্শাল কর্ত্তৃক প্রথমে আবিষ্কৃত,—ব্রোড্লে কর্ত্তৃক পুনরাবিষ্কৃত—নীলমণি চক্রবর্ত্তি কর্ত্তৃক প্রকাশিত |
১০১—১০৩ |
মহীপালদেব-প্রস্তরলিপি,—সারনাথের ধ্বংসাবশেষমধ্যে আবিষ্কৃত ১০৮৩ সম্বতের প্রস্তরলিপি,—প্রথম মহীপালদেবের সময়বিজ্ঞাপক,—জোনাথন স্কট কর্ত্তৃক প্রথমে বিজ্ঞাপিত,—ডাক্তার হুল্জ্ কর্ত্তৃক পঠিত,—লিপিতাৎপর্য্য-নির্ণয়ার্থ বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতি কর্ত্তৃক সারনাথে তথ্যানুসন্ধান,—তথায় মহীপালদেবের কীর্ত্তিচিহ্ন |
১০৪—১০৯ |
নয়পালদেবের শাসন-সময়ের প্রস্তর-লিপি,—গয়াধামের কৃষ্ণদ্বারিকা-মন্দিরলিপি,—কনিংহাম কর্ত্তৃক আবিষ্কৃত,—মনোমোহন চক্রবর্ত্তি কর্ত্তৃক পঠিত,—নয়পালদেবের শাসন-সময়ে গয়াধামে হিন্দুশিক্ষার ও হিন্দুধর্ম্মের অবস্থা-বিজ্ঞাপক শিলালিপি |
১১০—১২০ |
তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের তাম্রশাসন,—দিনাজপুরের অন্তর্গত আমগাছি গ্রামে ১৮০৬ খৃষ্টাব্দে আবিষ্কৃত,—কোলব্রুক্ ও হর্ণলি কর্ত্তৃক আলোচিত,—মহীধর শিল্পির পুত্র শশি[দেব] কর্ত্তৃক উৎকীর্ণ |
১২১—১২৬ |
বৈদ্যদেবের তাম্রশাসন,—বারাণসীধামের নিকটবর্ত্তী কমৌলি-গ্রামে আবিষ্কৃত,—অধ্যাপক ভিনিস্ কর্ত্তৃক উদ্ধৃত পাঠ ও ব্যাখ্যার সমালোচনা সমন্বিত |
১২৭—১৪৬ |
মদনপালদেবের তাম্রশাসন,—দিনাজপুরের অন্তর্গত মনহলি গ্রামে আবিষ্কৃত,—সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় ও বেঙ্গল এসিয়াটিক্ সোসাটির পত্রিকায় প্রকাশিত পাঠের ও ব্যাখ্যার
সমালোচনা সমম্বিত |
১৪৭—১৫৮ |
গৌড়লেখমালা।
শুদ্ধিপত্র।
পৃষ্ঠা | পংক্তি | অশুদ্ধ | শুদ্ধ |
---|---|---|---|
৫ 〃 〃 ১২ ৫৬ ৬৫ ৭৩ ৭৫ 〃 〃 ৭৭ ৮৫ ৯৪ ১০৯ ১৩৪ ১৩৬ |
৩০ ৩০ ৩২ ২০ ৫ ১১ ১৫ ১ ১২ ২০ ৩২ ২৬ ১৫ ৩ ৭ ১০ |
lime defenite Fleat यस्यिन्नद्दामलीला নরপালগনের সাম अनुरुपाया लक्ष्म्य रमेय यशसो द्बिषाञ्च বলিরা समृतमयं क्षितिघ्रान्निधि মহাপ্রমণ विद्यां प्रसस्तिं |
line definite Fleet यस्मिनुद्दामलीला নরপালগণের সামন্ত अनुरूपाया लक्ष्म्याः रमेय-यशसो द्विषाञ्च বলিয়া ममृतमयं क्षितिध्रान्निधि মহাশ্রমণ विदां प्रशस्तिं |
এই লেখাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত কারণ এটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারির পূর্বে প্রকাশিত।
লেখক ১৯৩০ সালে মারা গেছেন, তাই এই লেখাটি সেই সমস্ত দেশে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত যেখানে কপিরাইট লেখকের মৃত্যুর ৮০ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এই রচনাটি সেই সমস্ত দেশেও পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত হতে পারে যেখানে নিজ দেশে প্রকাশনার ক্ষেত্রে প্রলম্বিত কপিরাইট থাকলেও বিদেশী রচনার জন্য স্বল্প সময়ের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।