লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস

উইকিসংকলন থেকে
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস
লেফ্‌টেন্যাণ্ট
সুরেশ বিশ্বাস
(সচিত্র অলৌকিক ঘটনাপূর্ণ অত্যাশ্চর্য্য
জীবনকাহিনী)
“বঙ্গনিবাসী” সম্পাদক
শ্রীউপেন্দ্রকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্কলিত।

[প্রথম সংস্করণ।]

শ্রীব্রজহরি দত্ত কর্ত্তৃক প্রকাশিত।
২৫/২ গ্রে ষ্ট্রীট্, কলিকাতা।
ইলিশিয়ম্ প্রেশে শ্রীহরিচরণ দাস দ্বারা মুদ্রিত।
৬২/২ বিডন ষ্ট্রীট, কলিকাতা

১৩০৬


সমস্ত স্বত্ব রক্ষিত হইল]
[মূল্য ১৷৷৹ দেড়টাকা মাত্র।

     
 

সতর্কতা।

 এই পুস্তক ১৮৪৭ সালের ২০ আইন অনুসারে রেজেষ্টারী করা হইল। যিনি এই পুস্তকের অবিকল বা কোন অংশ প্রকাশকের বিনা অনুমতিতে গ্রহণ বা মুদ্রাঙ্কণ করিবেন তাঁহাকে আইনানুসারে দণ্ডনীয় হইতে হইবে।

২৫।২ গ্রে ষ্ট্রীট, শ্রীব্রজহরি দত্ত,
কলিকাতা, ১লা ফেব্রুয়ারী,
১৯০০। স্বত্বাধিকারী।
 
     

ভূমিকা।


 বীর, কবি বা সাধু সদাশয়গণ সর্ব্বদেশে সমাদৃত। তাঁহারা চলিয়া যান, সংসার তাঁহাদের কীর্ত্তিকাহিনী বুকে করিয়া রাখে। বুকে করিয়া আপনি ধন্য হয়; কেন-না মাটীর পৃথিবীতে অমর সন্তানের জন্ম, মহা গৌরবের কথা।

 সুধু গৌরবের কথা নহে,—পরম প্রয়োজনীয়; পৃথিবীর শান্তিতৃপ্তি উন্নতি উৎসাহের অনন্ত উৎস। এই অভাবকঠিন মলিন মর্ত্ত্যের অনন্ত পথের অনন্ত যাত্রীসম্প্রদায় যখনই পৃথিবীর দিগন্তপ্রসারী ধূলিরাশির মধ্যে দিগ্‌ভ্রান্ত হইয়া যায়, তখনই ইতিহাস বা জীবনচরিত সেই ধূলি জঞ্জাল সরাইয়া অঙ্গুলি নির্দ্দেশ করিয়া বলে, ইঁহারা কেমন শান্তিসরিতে পৃথিবীর ধূলিরাশি সরাইয়াছেন,—ইঁহারা কেমন ধূলিরাশি সরাইয়া অচল অটল মহিমা মন্দির প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন।

 ইঁহারাও পৃথিবীতে দুই দিনের জন্য আসিয়াছিলেন, কিন্তু ইতিহাস জীবনচরিতে তাঁহাদিগকে চিরদিনের করিয়াছে। এমন চিরসঙ্গী পাইলে, এমন দুর্ভাগ্য কে আছে যে, আপনাকে নিতান্ত নিঃসহায় মনে করে।

 এখন একটি কথা, এমন সৌভাগ্যবান্‌ কয় জন,—যাঁহারা অনন্তকাল অসংখ্য অশান্ত লোকের হৃদয়ে শান্তিদান করিতে পারেন—যাঁহাদের কীর্ত্তিকাহিনী অবসন্ন প্রাণে উৎসাহের অনলশিখা জ্বালাইয়া দেয়।

 এই হতভাগ্য দেশে বর্ত্তমানকালে সেরূপ জীবনী অধিক নাই বটে, কিন্তু বিরল বলিয়াই দুই একটি যাহা দেখিতে পাই, তাহাই অধিক আদরের ধন। দরিত্রের সম্বল বহুমূল্য না হইলেও সমধিক প্রিয়।

 এক জন কপর্দ্দক শুন্য নিতান্ত নিঃসম্বল বঙ্গবাসী, যাঁহার পরিধানে দ্বিতীয় বস্ত্রমাত্র ছিল না—বিদেশে অপরিচিত মণ্ডলীর মধ্যে আপন অসাধারণ ক্ষমতাগুণে কিরূপে সৈনিক জীবনে গণ্যমান্য হইয়াছেন, যাঁহার অপূর্ব্ব বীরত্বে ব্রেজিলবাসী মুগ্ধ—শৌর্য্যবীর্য্যে যিনি জগতের বীরেন্দ্র সমাজের বরণীয়;—যাঁহার কার্য্যে মেকলে প্রমুখ বাঙালীবিদ্বেষীর বাঙালীর ভীরুতাপবাদ অমূলক অতীত কাহিনীর মধ্যে দাঁড়াইয়াছে। টাইম্‌সের ন্যায় রক্ষণশীল সম্প্রদায়ের মুখপত্রও যাঁহার উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন,—যে দেশে একই সময়ে সুরেশচন্দ্র বিশ্বাস, জগদীশ বসু ও অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মিতে পারে, সে জাতিকে অবজ্ঞা করা যাইতে পারে না, সেই বঙ্গগৌরব সুরেশচন্দ্রের বিস্তৃত জীবনী বঙ্গবাসী মাত্রেরই সমাদরের সামগ্রী হইবে, সন্দেহ নাই।


 লেফ্‌টেনাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

সূচীপত্র।

অবতরণিকা।

       

প্রথম পরিচ্ছেদ।

       

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ।

       
২০

চতুর্থ পরিচ্ছেদ।

       
২৪

পঞ্চম পরিচ্ছেদ।

       
২৯

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।

       
৩৩

সপ্তম পরিচ্ছেদ।

       
৩৭

অষ্টম পরিচ্ছেদ।

       
৪০

নবম পরিচ্ছেদ।

       
৪৩

দশম পরিচ্ছেদ।

       
৫১

একাদশ পরিচ্ছেদ।

       
৫৯

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ।

৬৪

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ।

৬৬

চতুর্দ্দশ পরিচ্ছেদ।

৭৪

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ।

       
৮৪

ষোড়শ পরিচ্ছেদ।

৮৭

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ।

৯১

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ।

       
৯৬

ঊনবিংশতি পরিচ্ছেদ।

১০৩

বিংশতি পরিচ্ছেদ।

       
১০৬

একবিংশতি পরিচ্ছেদ।

       
১০৯

দ্বাবিংশতি পরিচ্ছেদ।

       
১১৩

ত্রয়োবিংশতি পরিচ্ছেদ।

১১৮

চতুর্ব্বিংশতি পরিচ্ছেদ।

১২৬

পঞ্চবিংশতি পরিচ্ছেদ।

       
১৩৩

ষড়্‌বিংশতি পরিচ্ছেদ।

       
১৩৮

সপ্তবিংশতি পরিচ্ছেদ।

       
১৪৩

অষ্টাবিংশতি পরিচ্ছেদ।

       
১৪৮

ঊনত্রিংশৎ পরিচ্ছেদ।

       
১৫৩

ত্রিংশৎ পরিচ্ছেদ।

       
১৫৫

একত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

       
১৬০

দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

       
১৬৪

ত্রয়স্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

       
১৬৯

চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

       
১৭৪

পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

       
১৭৯

ষট্‌ত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

       
১৮১

সপ্তত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

       
১৮৭

অষ্টাত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

       
১৯৫

পরিশিষ্ট।

       
২০০

অবতরণিকা।

বঙ্গ ও বঙ্গবাসী।

 অনন্ত রত্নপ্রসবিনী ভারতভূমি পৃথিবীর অক্ষয় শস্যভাণ্ডার; বঙ্গভূমি তাঁহার পরম আদরের পরমাসুন্দরী তনয়া। পূণ্যবতী মাতার আদরিণী কন্যা শোভাময়ী, শান্তিময়ী, স্নেহময়ী, অন্নপূর্ণাস্বরূপিণী। বঙ্গের সৌন্দর্য্যগৌরব ভীষণতায় নহে, এখানে প্রকৃতিদেবীর সহাস্যোজ্জ্বল মিগ্ধমাধুরী মহিমা—অপরূপ রূপমাধুরী। সমুন্নত পর্ব্বতশিরে সুশোভন বৃক্ষরাজি বঙ্গের শোভা সম্পত্তি নহে; পর্ব্বতমালা ভেদ করিয়া প্রবল শ্রোতস্বতী এখানে উদ্দামগতিতে প্রবাহিতা নহে, ঘনপত্রপল্পবাচ্ছাদিত ভীষণ অধিত্যকা প্রদেশ ও এখানে নাই। কিন্তু শস্যশ্যামলা সদা হাস্যময়ী সমতলভূমি—উদার, পবিত্র মোহন, সরল সৌন্দর্য্যে পূর্ণ। পাষাণভাঙ্গা প্রবল প্রবাহিণী বঙ্গভূমিতে আসিয়া ধীর মন্থর গতিতে ঘুরিয়া ফিরিয়া বক্রগতিতে ক্রীড়া করিতেছে। বক্ষে অগণ্য সুখশান্তিপূর্ণ নগরী। নগরী অসংখ্য সুরল, সহাস্য, শান্তি প্রাণ নরনারীপূর্ণ, গৃহে গৃহে তাহাদের আনন্দ উৎসব—প্রতি উৎসবে প্রেমভক্তি শত ধারায় উৎসারিত। সে প্রেমতরঙ্গমালা শান্ত নহে অথচ বিপুল বিশাল বেগবতী সঞ্জী

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।